হোয়াটসঅ্যাপে প্রায়ই আমরা ভুয়া কিছু মেসেজ পেয়ে থাকি। ভুয়া মেসেজ বলতে, পরিচিত বা অপরিচিত কারো কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় টেক্সট, লিংক, অডিও বা ভিডিও পাওয়া যায়। ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এসব ভুয়া মেসেজের নির্দেশনা না মানাই ভালো।
অনেকেই ভুয়া মেসেজগুলো চিনতে পারেন না। দেখা যায়, আপনি পরিচিত কারো মাধ্যমেই একটি ভুয়া মেসেজ পেলেন; তখন সেটি আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। কয়েকটি টিপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজটি ভুয়া না-কি আসল-
>> ফরোয়ার্ড করা মেসেজগুলো যিনি সেন্ট করেন, তিনি কিন্তু লেখেন না। ওই ব্যক্তিও হয়তো অন্য কারো কাছ থেকে ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজটি পেয়েছেন। পরবর্তীতে হয়তো তিনি মেসেজটি আপনাকে পাঠিয়েছেন। তাই পরিচিতজনের কাছ থেকেও যদি এমন ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজ পেয়ে থাকেন, তবে তার সত্যতা জানুন আগে।
>> ফরোয়ার্ড লেবেলযুক্ত বার্তাগুলোর অর্থ কী? যখন কোনো বার্তা এক ব্যবহারকারী থেকে অন্য ৫ বারেরও বেশিবার পাঠানো হয়, তখন মেসেজটির পাশে একটি ডাবল তীর আইকন থাকে। এমনটি দেখলে দ্রুত মেসেজটির সত্যতা বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানার চেষ্টা করুন।
>> অনেক সময় ভুয়া মেসেজগুলোতে দেখবেন, বানান ভুল বা অনেক অক্ষর থাকতে পারে। যেগুলো কোনো অর্থ প্রকাশ করে না ঠিকই, কিন্তু ওই লেখাগুলো হাইপারলিংক করা থাকায় ট্যাপ করলেই আপনি অন্য একটি পেইজে ঢুকে যাবেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেখানে একটি ফরমে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসপোর্টের নম্বর চাইতে পারে। ভুলেও এসব তথ্য কোনো পেজে যুক্ত করবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ।
যেভাবে ভুয়া মেসেজের সত্যতা যাচাই করবেন-
গতবছর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তার সর্বশেষ আপডেটেড ভার্সনের একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। যার মাধ্যমে ভুয়া মেসেজের সত্যতা যাচাই করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী বার্তার ঠিক পাশে থাকা অনুসন্ধান আইকনটি নির্বাচন করে ফরওয়ার্ড করা বার্তাটি যাচাই করতে পারবেন।
আপনি যখন অনুসন্ধান বারে ক্লিক করবেন; তখন আপনি নিজের বার্তা গুগলে অনুসন্ধান করতে চান কি-না, সেটি জিজ্ঞাসা করবে। আপনি যদি হ্যাঁ নির্বাচন করেন, তখন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অন্য একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাবে। যা আপনার বার্তাটি সত্য বা মিথ্যা কি-না তা নিশ্চিত করবে।